নিজের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ মামলার আসামি বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সাংসারিক কাজ করতে গিয়ে আগুনে ভিকটিমের মায়ের পা পুড়ে যায়।
পরে তিনি ৩ মাস ধরে মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এদিকে বাবা ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে একাধিকার ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমের মা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তার মেয়ে কোনো খাবার গ্রহণ করলে বমি করছে। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় ভিকটিমের মা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য নিতে চায়। কিন্তু আসামি বাবা বাধা দেয়। একপর্যায়ে ভিকটিম তার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে।
র্যাব আরও জানায়, ভিকটিমের বাবা ও তার সহযোগীরা ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিমের গর্ভপাত ঘটায়। পরে ভিকটিমের মা গত ১ জুলাই বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানায় মামলা করেন। বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর র্যাব-১৩, দিনাজপুর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এবং র্যাব-৪, সাভার সিপিসি-২ যৌথভাবে ঢাকা জেলার আশুলিয়ার নইয়ারহাটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি মো. ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ইউসুফ আলী ঠাকুরগাও জেলার কামার ভোবলা এলাকার আব্দুস ছারামের ছেলে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি নিজের মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।